Friday, March 29

ইসলাম নিয়ে,এই কি বললেন মোশারফ করিম, যা নিয়ে সমালোচনার ঝর, বিস্তারিত ভিডিও সহ দেখুন

♦চ্যানেল ২৪ এ ‘জাগো বাংলাদেশ’ নামক একটা প্রোগ্রাম হয়। প্রোগ্রামটিতে উপস্থাপনা করে টিভি অভিনেতা মোশাররফ করিম। মোশররফ করিম অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বলে, “মেয়েরা কি স্বাধীনভাবে পোষাক পড়বে না ? পোষাকের কারণেই যদি নারী নির্যাতিত হতো, তবে ৫ বছরের শিশু কেন নির্যাতিত হয়, বোরকা পরা মেয়ে কেন ধর্ষিত হয় ?”

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

প্রোগ্রামটি দেখে আমার একটা কথা মনে পড়লো। ইহুদীবাদীদের একটা সিস্টেম হলো, প্রথমে কাউকে সেলিব্রেটি বানায়, এরপর সেলিব্রেটিকে নিজস্ব মতবাদ প্রচারে কাজে লাগায়। মোশাররফ করিমকে টিভি নাটকে অভিনয় করিয়ে বড় সেলিব্রেটি বানানো হয়েছে, এখন তাকে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে বিশেষ একটি মতবাদ।

 

বিষয়টা বুঝতে আপনাকে লোকাল পলিসি গুলো বুঝতে হবে। যেমন আওয়ামীলীগ ক্রিকেটে মাশরাফি বা সাকিববে প্রমোট করেছে। তারা এখন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সেলিব্রেটি। হয়ত দেখা যাবে খুব শিগ্রই এ দু’জনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে আওয়ামলীগ। হয়ত তারা আওয়ামীলীগের হয়ে প্রচারে নামবে কিংবা এমপি পদে দাড়াবে।

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

 

যাই হোক, আগের আলোচনায় ফিরে আসি- মোশররফ করিমের বক্তব্য : “পোষাক যদি নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী হতো, তবে ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরা নারী নির্যাতিত হচ্ছে কেন ?”

পাঠক, আমরা সবাই নারী নির্যাতন বিরোধী। আমরা চাই সমাজে নারী নির্যাতন কমে যাক।
একটি গোষ্ঠীকে প্রায় দেখা যায়, প্রথমে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলে,
কিন্তু পরের কথায় বলে, পোষাক নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী না।

আসলে এ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষকে সাইকোলাজিক্যালী ডিরেইল করা। এক প্রসঙ্গ তুলে অন্য স্বার্থ হাসিল করা। সাইকোলোজির ভাষায় ফলস বিলিভ প্রবেশ করানো।

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

প্রথম প্রসঙ্গ, – “নারী নির্যাতন কেন বাড়ছে”, “কিভাবে নারী নির্যাতন কমানো যায় ?”
আগে এ বিষয়দুটি সুরাহা করা দরকার । এরপর আসবে- নারী কোন পোষাক পরবে ?

এই বিষয়ে সাইকোলোজির এক শিক্ষকের সাথে একবার কথা বলছিলাম, তিনি আমাকে একটা ‘শব্দ’ বলেছিলেন, আমার কাছে শব্দটা অনেকগুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। শব্দটা ছিলো ‘যৌনউন্মাদ’। তিনি বলেছিলেন, ইহুদীবাদীরা চায়- “সব মানুষ যৌনউন্মাদ হয়ে যাক”।
‘যৌনউন্মাদ’ টার্মটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আমি এ শব্দটার উপরে গবেষনা করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, বর্তমানে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি, পারিবারিক অশান্তি, পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যাওয়া, সমাজের অবক্ষয়ের পেছনে যত কারণ আছে তার কারণ এই ‘যৌনউন্মাদ’ শব্দটা রয়েছে।

(ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে-এ বিষয়গুলো আলোচনার করার প্রয়োজন বলেই করছি । কারো এতটুকু খারাপ লাগলে বাকি অংশ নাও পড়তে পারেন)

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

 

যৌনউন্মাদ কাকে বলে ? কিভাবে তা হয়?
যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক ক্রিয়া ও চাহিদা। প্রত্যেক মানুষ সৃষ্টিগতভাবে যৌনতা নিয়ে জন্মায় এবং এই যৌনতার একটি নির্দ্দিষ্ট পরিমাপ থাকে। মানুষ বড় হয়, বিয়ে করে, এর মধ্যে তার সেই চাহিদা পূরণ হয়। সৃষ্টিগতভাবে তার যতটুকু চাহিদা আছে সেটা সমাজ বিয়ে, ঘরসংসারের মাধ্যমে পূরণ করার জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু কোন কৃত্তিম উপায়ে যদি ঐ মানুষটির যৌনআকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়া যায় তখন ? ঠিক যেভাবে একজন মানুষকে ওষুধ খাওয়ায় তার ক্ষুধা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। সে ১০ টাকার যায়গায় ২০ টাকার খেলেও পেট ভরে না, সেকরম। যৌনউন্মাদ হচ্ছে সে ধরণের একটি বিষয়, যেখানে কৃত্তিম উপায়ে মানুষের যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়।

উদহারণস্বরুপ পর্নোগ্রাফির ক্যাটাগরিগুলোর দিকে খেয়াল করুন। অফিসে নারী কর্মজীবি আসলে বস কিভাবে সুযোগ নেবে, পুরুষ কর্মজীবি নারী বসের থেকে কিভাবে সুযোগ নেবে, ঘরে কাজের মহিলা আসলে ঘরের পুরুষ কিভাবে সুযোগ নেবে, ছাত্র কিভাবে শিক্ষিকার থেকে সুযোগ নেবে, ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসলে শিক্ষক কিভাবে সুযোগ নেবে, ড্রাইভার/দারোয়ান কিভাবে ঘরের মহিলার সুযোগ নেবে, ডাক্তার কিভাবে রোগিনীর থেকে সুযোগ নেবে, রোগি কিভাবে মহিলা ডাক্তারের থেকে সুযোগ নেবে, ফেরিওয়ালা কিভাবে ঘরের গৃহিনীর থেকে সুযোগ নেবে, বাসে গেলে কিভাবে নারী যাত্রীর থেকে সুযোগ নেবে, ভাবীর থেকে দেবর কিংবা শালীর থেকে দুলাভাই সুযোগ নেবে, মেসের ব্যাচেলররা কিভাবে পাশের বাড়ির বিবাহিত নারীর থেকে সুযোগ নেবে, বন্ধুর মায়ের থেকে কিভাবে সুযোগ নেবে, এমনকি ইনসেস্ট (মা-ছেলে, বাবা-কন্যা), সমকামীতা বা শিশু বাচ্চাদের প্রতি কিভাবে আসক্ত হতে হয় সেটাও শেখানো হচ্ছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো আজকাল সেই পর্নের অনুকরণে সফট পর্নোসমৃদ্ধ শর্ট মুভি তৈরী করছে। টিভি চ্যানেল কিংবা ইন্টারনেটের সুযোগ মানুষ এগুলো দেখছে আর সবকিছু তার কাছে সেক্স অবজেক্ট মনে হচ্ছে। আগে শিক্ষিকা বা বন্ধু মাকে নিজের মায়ের মত সম্মান করতো একটা ছেলে, কিন্তু ঐসব সিরিয়াল-মুভি দেখে তারা কতটুকু হট সেটা পরিমাপ করছে। সারাদিন তার মাথায় শুধু সেক্স আর সেক্স চিন্তা। ঘরের নারী, কাজের মহিলা, শিক্ষিকা, নারী বাসযাত্রী এমনকি শিশু বাচ্চা সবকিছু দেখলে তার ব্রেনে ডোপানিম নিঃসরণ ঘটছে এবং সে তার আকাঙ্খা পূরণ করতে চাইছে। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘যৌনউন্মাদ’ । মানুষকে যৌন উন্মাদ বানানোর জন্য সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে ইহুদী হিউগ হফনার প্লেবয় ম্যাগাজিন বের করে। হিউগ হফনারের দেখানো সেই পথ এখন অনেক দূর বিস্তৃত।

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

 

মোশররফ করিম যে বললো- ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরা নারীরা কেন নির্যাতিত হয় ? এর উত্তর হবে মানুষকে যে কৃত্তিমভাবে যৌনউন্মাদ বানানো হচ্ছে, তার ফলশ্রুতিতেই ৫ বছরের শিশু বা বোরকা পরিহিতা নারী নির্যাতিত হচ্ছে। আর মোশাররফ করিমরা নারীকে শর্ট পোষাক পরিয়ে সেই যৌনউন্মাদদের রান্না করা খাদ্য সরবরাহ করতে চাইছে। এর আলটিমেট এফেক্ট নারী নির্যাতন আরো বাড়বে, কখনই কমবে না।

 

মোশাররফ করিমদের বলবো-
দয়া করে- “আপনার মানসিকতা পরিবর্তণ করুণ, নারী পোষাক নয়”-এইসব মুখরোচক কথা বাদ দিন। আপনি, ইমাম গাজ্জালির বক্তব্যের অর্ধেক কথা প্রচার করে নিজেকে টাউট বলে প্রমাণ করেছেন। ইমাম গাজ্জালি মানুষের মনও পরিষ্কার করতে বলেছেন, আবার নারীদের বোরকাও পড়তে বলেছেন। কিন্তু আপনি শুধু একটা অংশ প্রচার করছেন।

ভিডিও টি  দেখার জন্য স্কল করে নিচে চলে যান

 

বাস্তবতা হলো- টিভিচ্যানেল আর ইন্টারনেটে সুরসুরি দেয়া ছবি দেখবেন, আর মন পরিষ্কার করতে বলবেন, এটাতো ছেলের হাতের মোয়া নয়। হয়ত উপর দিয়ে সুশীল সাজতে পারবেন, নারী স্বাধীনতার পক্ষেও বলবেন, কিন্তু সুযোগ পেলে যৌন উন্মাদনা জাহির করতে কেউ ছাড়বেন না।

আমি আবার বলছি, নারী নির্যাতনের কথা বলে ‘নারী পোষাক ফ্রি করা’র ভুয়া তত্ত্ব ছড়ানো বাদ দিন। যদি সত্যিই নারী নির্যাতন হ্রাস করতে চান, তবে আগে পর্নোগ্রাফী আর ভারতীয় টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে বলুন, মানুষের যৌনউন্মাদ হওয়া বন্ধ করুন। যদি আপনি পর্নোগ্রাফি ও ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধের কথা আগে না বলেন, তবে বুঝতে বাকি নাই আপনি নিজেই সেই ধর্ষক দলের পক্ষের লোক।

লিখেছেন
—————–
noyon chatterjee

Collected

Leave a Reply