Thursday, April 25

প্রকাশ্যে নারী বেচাকেনা, তরুণীর দাম ২২ হাজার টাকা!

ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপথ গ্রামে প্রকাশ্যেই চলে নারী কেনাবেচা। সম্প্রতি ওই গ্রামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, স্ত্রীর অপহরণের পর আত্মহত্যা করেন ওই যুবক।

কিন্তু জানা গেছে, ওই যুবকের আত্মহত্যার নেপথ্য কারণ নারী কেনাবেচা ও পাচার। ওই যুবকের নাম মুকেশ। কয়েকদিন আগে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন সরুরপুর গ্রামের এই মুকেশ।

কিন্তু তার পরিবার জানিয়েছে, ওই তরুণীকে বিয়ে করেননি তিনি। বরং নিলামে তাকে ২২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন মুকেশ। ১৫ হাজার ৫০০ টাকা তখনই মেটান।

বাকি টাকা পরে মেটাবেন বলে মনু নামে এক এজেন্টকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুকেশ। ৪ দিন পরে মুকেশের বাড়ি আসেন মনু। টাকা শোধ না করায় মুকেশের নববধূকে তিনি তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের দাবি, গ্রামের ইটভাটায় নারীদের কেনাবেচা চলে। ওই দিন আরও ৩ নারীকে নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল। মনু নারী পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে মনুর খোঁজে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিমানসেবিকাদের নগ্ন করে তল্লাশি!

নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে বিমানসেবিকাদের নগ্ন করে তল্লাশি চালানো হল। এমনই অভিযোগ উঠল স্পাইসজেট বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে চেন্নাই বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখান বিমানসেবিকারা।

বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে সোমবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসার আশ্বাস দিলে ফের কাজে যোগ দেন তাঁরা। যদিও ততক্ষণে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে একটি কলম্বোগামী আন্তর্জাতিক উড়ান-সহ দু’টি বিমানের উড়ান এক ঘণ্টারও বেশি দেরিতে ছাড়ে।

বিমানসেবিকাদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে উড়ান থেকে নামার পরেই তাঁদের নগ্ন করে তল্লাশি করা হয়। শৌচালয়েও যেতে দেওয়া হয় না। দেহ তল্লাশির পাশাপাশি তাঁদের ব্যাগ, ব্যক্তিগত সামগ্রী খুলে দেখা হয়। এমনকী, তাঁদের হাতব্যাগ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন ফেলে দিতেও বলে বিমানসংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরা।

আর এই সবই করা হয় স্পাইসজেট বিমানসংস্থার নির্দেশে। তাঁরা আরও জানান, বেসরকারি এই বিমান সংস্থাগুলির সন্দেহ, উড়ানের খাবার বিমানসেবিকারা বেআইনিভাবে বিক্রি করেন। সেই টাকা ও বিমানের অন্য মূল্যবান সামগ্রী বিমানসেবিকারা চুরি করেন। সেকারণে উড়ান থেকে নামার পর তাঁদের শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয় না।

বিমানসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কাজ থেকে ফেরার সময় কর্মীদের তল্লাশি চালানোর নিয়ম পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। তাও সেই কাজ প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে বন্ধ ঘরের মধ্যে করানো হয়।

অবশ্যই মহিলা কর্মীদের মহিলা নিরাপত্তারক্ষী ও পুরুষ কর্মীদের পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরাই তল্লাশি করেন। বিমানসংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীকে নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেখানে বিমানকর্মীদের কেন তল্লাশি করা হবে না?

এদিন স্পাইসজেট বিমানসংস্থার কর্মীদের তল্লাশির কথা স্বীকার করার পাশাপাশি জানানো হয়েছে, বহু কর্মী উড়ান থেকে পাওয়া অর্থ ও অন্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেন। গত ২৮, ২৯ মার্চ বিভিন্ন বিমানবন্দরে তল্লাশি চালিয়ে এমন অনেক বিমানকর্মীকে হাতেনাতে ধরাও হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

চেন্নাই বিমানবন্দরে বিমানসেবিকাদের বিক্ষোভের ভিডিও প্রকাশ হতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিওয় দেখা যায়, স্পাইসজেটের ইউনিফর্ম পরা একদল বিমানসেবিকা আন্দোলন করছেন। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের শরীরে আপত্তিকরভাবে হাত দিয়েছেন। এমনকী, তল্লাশির নামে তাঁদের নগ্নও করা হয়েছে।

এক ঋতুস্রাব হওয়া বিমানসেবিকাকে তাঁর স্যানিটারি ন্যাপকিন খুলতেও বলা হয় বলে অভিযোগ। বিমানকর্মীদের অভিযোগ, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধা দিতে তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তার বদলে তাঁদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বিমানসংস্থা খেলা করছে।

নিরাপত্তার নামে মহিলাদের শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করা ও স্যানিটারি ন্যাপকিন খুলতে বাধ্য করা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ হয়, কিন্তু এই ঘটনা তার বাইরে নয় বলেও দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত বিমানকর্মীরা।

Leave a Reply