Friday, April 19

জনতার সামনে অঝোরে কেঁদে চোখের পানি ফেললেন এসপি নূরুল, কিন্তু কেন?

পানি ফেললেন এসপি নূরুল – চোখের পানি ফেললেন এসপি-হাজার হাজার জনতার সামনে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম গত ৯ এপ্রিল ময়মনসিংহ সদরের ৫নং চরসিরতা ইউনিয়নে গিয়েছিলেন কাশেম হত্যার বিচার প্রার্থীদের এক বিশাল সমাবেশে। সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন এলাকাবাসী।

সমাবেশ স্থলে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামকে দেখে উৎসুক জনতার ঢল নামে। তারা একের পর এক শ্লোগান দিতে থাকেন এবং দাবী জানাতে থাকেন কাশেম হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের কে যেন দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রদানে পুলিশ সুপার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একই সময় নিহত কাশেমের পরিবারের আহাজারিতে সমাবেশে বিষাদের ছায়া নেমে আসে।

এ সময় পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামও আবেগ ধরে লাখতে না পেয়ে কাঁদতে থাকেন। সেই সাথে সমাবেশের বিশেষ অথিতি কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম (পিপিএম)এবং পুলিশ পরিদর্শক মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্য অথিতি বৃন্দ এবং জনতার মাঝে বেদনার ছায়া নেমে আসে।

এসপি নুরুল ইসলাম সমাবেশ স্থলে জোরালো ভাষায় অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করা হবে বলে জানান। তিনি এ সময় নিহত কাশেমের পরিবার বর্গের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন এবং তাদের আশ্বস্ত করেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফরহাদ ও ইসমাইল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। ২ এপ্রিল সোমবার রাতে স্থানীয় জয়বাংলা বাজারের কাছে এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ ২জনের নামে মামলা দায়ের করে।

কোতোয়ালী পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ শহর থেকে জয়বাংলা রোডে চলাচলকারী সিএনজি ও পিকআপের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় চর ভবানীপুরের আবুল কাশেম এগিয়ে আসলে সিদ্দিক নামীয়রা তাকে মারধর করে।

উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ বাড়তে থাকায় সোমবার রাতে সিদ্দিকের সহযোগী ফরহাদ ও ইসমাইল নামীয়রা ঘটনা মিমাংশার নামে আবুল কাশেমকে একটি চায়ের দোকানে ডেকে নেয়।

পরে কৌশলে সিদ্দিক, ফরহাদ, ইসমাইল নামীয়রা আবুল কাশেমকে একটি ব্যাটারী চালিত অটো বাইকে তুলে নিয়ে জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় নামিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে থেতলিয়ে হত্যা করে। আবুল কাশেমের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এগিয়ে সন্ত্রাসী চক্রটি তাদেরকেও আহত করে।

কোতোয়ালী পুলিশের ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, পুর্ব শক্রতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

Leave a Reply