Tuesday, April 23

দেখুন, চুমু দিলে আপনার বাচ্চার কত বড় ক্ষতি হতে পারে !

আপনার শিশুকে কেউ চুমু খেতে চায়, দরজার বাইরে বের করে দিন: শিশুর জীবনের বিনিময়ে ভদ্রতা নয় ১ জুলাই ২০১৭ সালে ইউ এস এর আইওয়াতে জন্ম হয়েছিল মারিয়ানা সিফ্রিট এর। সুন্দর স্বাস্থ্যবান বাচ্চা ছিল সে। ৭ জুলাই, তার মা বাবার বিয়ের অনুষ্ঠানের মাত্র দু ঘন্টা পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো।

ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখলেন সে মেনিঞ্জাইটিসএইচ এস ভি-১ এ আক্রান্ত। যা কি না হারপিস মেনিঞ্জাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়েছে। এই ভাইরাস সেক্সুয়াল কন্ট্যাক্টের দ্বারা ট্রান্সমিটেড হতে পারে। মা থেকে সন্তানের মধ্যেও ছড়াতে পারে।

কিন্তু মারিয়ানার বাবা মাকে পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেল। সুতরাং ডাক্তাররা অনুমান করলেন তাদের বাড়িতে কোন ব্যক্তি এসেছিল যে ওই রোগের ক্যারিয়ার ছিল এবং মারিয়ানার ঠোঁটে চুম্বন করেছিল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দু দিনের মধ্যে মারিয়ানাকে ছয়বার ব্লাড ট্রান্সফিউসন করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিডনি এবং লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ১১ জুলাই নিকোল সিফ্রিট ফেসবুকে পোস্ট করলেন তাঁর বাচ্চার ব্রেন হার্ট লাং ‘স্টপড ফাংশনিং’।

পরদিন ১২ জুলাই সকালে মারিয়ানার মৃত্যু হয়। তাই বলি, কেউ যদি আদিখ্যেতা করে আপনার শিশুকে চুমু খেতে চায়, কান ধরে দরজার বাইরে বার করে দিন। শিশুর জীবনের বিনিময়ে কোন ভদ্রতা নয়।

অন্যরা যা পড়ছে..!

যে কারনে খোঁড়া কবরে প্রতিদিন সময় কাটান বাবা-মেয়ে, জানলে কাঁদবেন আপনিও !!

চীনের সিচ্যুয়ান প্রদেশে পরিবার নিয়ে থাকেন জিং লিইয়ং। জানা যায়, তিনি তার দুই বছরের অসুস্থ মেয়েকে প্রতিদিন নিয়ম করে সদ্য খোঁড়া একটি কবরের কাছে নিয়ে যান এবং সেখানে বাবা-মেয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটান।
এরপর তারা আবার চলে আসেন।

জিং লিইয়ংয়ের ছোট্ট মেয়ে জিনলিয়ি দুরোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য জিং লিইয়ংয়ের আয়ের সব অর্থই ব্যয় হয়ে গেছে। মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। তাই তিনি বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জিং লিইয়ং মনে করেন, মেয়ে জিনলিয়িকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই ছোট্ট মেয়েটি যাতে মৃত্যুর পরের জীবনকে ভয় না পায় সেই জন্য তিনি তার মেয়েকে প্রতিদিন তারই খোঁড়া একটি ফাঁকা কবরের কাছে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে জিং লিইয়ং বলেন, আমি অনেকের কাছে হাত পেতেছিলাম। অনেকেই দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এখন আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমরা চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছিলাম না। তাই আমরা আমাদের মেয়ের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই। জিং লিইয়ং আরও বলেন, এখন আমি তাকে কবরের কাছে নিয়ে আসি। এখানে সে খেলাধুলা করে। কারণ এখানেই সে ভবিষ্যতে শান্তিতে থাকবে।

Leave a Reply