Wednesday, April 24

দামী বিছানায় শুয়ে তুমি যখন প্রিয় মানুষকে অপূর্ণতার গল্প শুনাচ্ছো; ‘‘তখন রাতের বে* ব্রা’য়ের হুক খুলছে…

তখন রাতের বেশ্যা ব্রা- দামী বিছানায় শুয়ে তুমি যখন প্রিয় মানুষকে অপূর্ণতার গল্প শুনাচ্ছো; ‘‘তখন রাতের বেশ্যা ব্রা’য়ের হুক খুলছে কয়টা টাকা পাওয়ার জন্য। টাকা পেলে সংসার চলবে, অসুস্থ বাবার ঔষধ হবে। অথচ নোটবুক আর ফেসবুকে তোমার অপূর্ণতার শেষ নেই’’…..

তুমি যখন নতুন ফোনের জন্য মায়ের সাথে উচু গলায় কথা বলছো… তখন অন্য কোন ‘‘মা’’ সন্তানের ছিড়ে যাওয়া জামা সেলাই করার টাকার কথা চিন্তা করছে। ‘‘অথচ তোমার চকচকে পোষাক’’!

বাইকের জন্য বাবাকে যখন ‘‘ছোট লোক’’ বলে মনে-মনে গালি দিচ্ছো… তখন নজির উদ্দীন ‘পা’ বিহিন শরীরে নিয়ে মানুষের কাছে বেঁচে থাকার জন্য হাত পেতে যাচ্ছে। ‘‘তুমি যে হাঁটতে পারো এতে তোমার সন্তুষ্টি নেই’’ ….

রান্নায় ডাল কিংবা সবজি দেখলে তোমার মাথায় যখন রক্ত উঠে যায়… তখন রাস্তায় ফেলে যাওয়া আরসি কোলার বোতল কুঁড়িয়ে ‘‘এক প্লেট ভাত আর ডালে’র বন্দোবস্ত করছে—বস্তির টোকায়। তোমার সামনে খাবার পড়ে আছে বলে অভাব বুঝছোনা।

ব্র্যান্ডের শুয়েটার গায়ে দিয়েও যখন তোমার শীত মানছেনা… তখন স্টেশনের বারান্দায় সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া ‘‘মা’’ ছেড়া কাপড়ে শীত নিবারণের আ-প্রাণ চেষ্টা করছে… ‘‘তবুও তোমার মনে শান্তি নেই’’।

বন্ধুর বাইকের পিছনের বসে তোমার বাবাকে যখন অপারগ ভাবছো… তখন অন্য কোনো ‘‘বাবা’’ ইট ভাটার উতপ্ত আগুনের পাশে বসে আছে, সন্তানদের মুখে ডাল-ভাত তুলে দেবার জন্য। ‘ভাত খেতে পাও বলে অভাব চিনতে পারোনি।

কমদামী ফোন ব্যবহার করো বলে- বন্ধুদের সামনে নিজেকে যখন ছোট ভাবতে থাকো… তখন দু’হাত বিহীন মানুষটি ভাবছে কারো সাহাস্য পেলে বাথরুমে যাবে… ‘‘তোমার দু’হাত আছে; ফোন আছে; টিপতে পারছো, তবুও তুমি ভালো নেই’’…

তুমি যখন কী–র্বোড তুলোধনা করে ডিপ্রেশনের এক’শ একটি কারণ খুঁজে বের করছো… তখন ভার্সিটি পড়ুয়া কোন ভাই- রাতের শহরে মুখ ঢেকে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে, সংসার খরচ আর মেস ভাড়া মিটানোর জন্যে। অথচ ‘‘তোমার হাতে- স্মার্ট ফোন’’ !!

‘‘বিশ্বাস করো…. ভালো না থাকার জন্য সহস্রটা কারণ তুমি বের করতে পারবে, কিন্তু ভালো থাকার জন্য একটি কারণ বের করে ভালো থাকার সাহস তোমার নেই’’— তুমি ভীতু মহা ভীতু… তোমার থেকে নিচে তাকাও; ভালো থাকতে শিখে যাবে।

লেখাটি ড. নাহার এর ফেসবুক আইডি থেকে নেয়া

Leave a Reply