Saturday, April 20

ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানী কাঠমান্ডুর এই বিমানবন্দরে এবার…

রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লো- বিমান দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না ঘাসের রানওয়ে থেকে মর্ত্যের নরক খ্যাত নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের।

ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানী কাঠমান্ডুর এই বিমানবন্দরে এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বিমানের ১৩৯ যাত্রী। এই ঘটনার পর শুক্রবার বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

জানা গেছে, ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে মালিন্দো এয়ারলান্সের একটি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি।

বিমানের চাকা পিছলে বিমানটি ছিটকে পড়লেও বড় ধরনের কোনো বিপত্তি বাধেনি। কেউ এই ঘটনায় হতাহত হয়নি। মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাঁদার মধ্যে আটকা পড়ে।

বিমানটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য সেসময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।

তবে কত সময়ের জন্য ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় সমস্যার মুখোমুখি হন বিমানের পাইলট। বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৩০ মিটার দূরে কাঁদার মধ্যে আটকে যায়।

প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। তবে কি কারণে এ ধরনের সমস্যা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিধ্বস্ত হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।

এতে বিমানটিতে থাকা ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি রয়েছেন। এতে আহত হন ১০ বাংলাদেশি। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কিস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ওই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে চারদিন ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

Leave a Reply