Friday, March 29

ঢাকাবাসীর শান্তির জন্য কাজ করেছি: ডিএমপি কমিশনার

আমরা জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি, গুড়িয়ে দিয়েছি। তাদের উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি আর নাই। ঢাকাবাসীর শান্তির জন্য কাজ করেছি। বললেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী থানা চত্বরে হলি আর্টিজান হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্যের স্মরণে দৃপ্ত শপথ নামে একটি ম্যুরাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন ওই হামলায় নিহত বনানী থানার সাবেক ওসি সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী রেমকিম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় শহীদ সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও ওসি সালাউদ্দিনকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করেই আমরা জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি।

কমিশনার আরও বলেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, অর্থদাতা, ইন্ধনদাতাসহ সকলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে। সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আইনের মাধ্যমে জড়িতরা শাস্তি পাবে।
তিনি বলেন, ছোট বড় মিলে ৭০টির মতো জঙ্গি অভিযান হয়েছে। অভিযানে অনেক জঙ্গিকে জীবিত আটক করেছি। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। যা বিশ্বে নজিরবিহীন।

হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কেন ম্যুরাল তৈরি করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁটি ছিল একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। গুলশানে জায়গার দাম অনেক। তাই আমরা ম্যুরাল তৈরির জন্য সেখানে জায়গা পাইনি। এজন্য গুলশান থানার পুরাতন জায়গায় ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে যাতে, প্রতিবছর সাধারণ মানুষসহ সকলেই শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
জঙ্গিবাদের মতোই মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে তিনি বলেন, মাদকের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতাদের নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বিশেষ করে যারা জামিন করাচ্ছে। ওইসব আইনজীবীরও তালিকা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, ৭ জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টুরেন্টে আগত অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ অভিযান চালায়। এতে পাঁচ জঙ্গি ও একজন পিৎজা শেফ নিহত হয়।

Leave a Reply