Friday, April 26

২৭ রমজানের আগেই বকেয়া বেতন দিতে হবে: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ২৭ রমজানের আগেই গণমাধ্যম, তৈরি পোশাক ও বেসরকারি খাতের কর্মীদের বেতন ও বোনাসসহ সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আনন্দ যেন কারো কাছে অধরা না থাকে।

রোববার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের কাউন্সিল হলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

জিএম কাদের বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেক গণমাধ্যমে বেশ কয়েক মাসের বেতন বকেয়া আছে। সেখানে কর্মরত সাংবাদিক ও স্টাফরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুঃখ-কষ্টে আছেন।

তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাতের লাখ লাখ শ্রমিক ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিকড়ের টানে ছুটে যান। তাই গার্মেন্টস শ্রমিক ও বেসরকারি সব খাতে কর্মরতদের বকেয়া বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, দেশের রফতানি আয় সচল রাখেন যে শ্রমিকরা তারাই সবচেয়ে কম বেতনে চাকরি করেন। অথচ পোশাক শিল্প মালিকরা দরিদ্র শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রাখেন। তাই ২৭ রমজানের আগেই সবার পাওনা পরিশোধ করতে অনুরোধ জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, বেতন বকেয়া হওয়ার কারণে বেসরকারি খাতের কর্মীরা অনেকে বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। পরিবারের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অসুধের বন্দোবস্ত হচ্ছে না। অনেকেই সন্তানদের স্কুল-কলেজের বেতন বা কোচিং ফি দিতে পারছেন না। এমন বাস্তবতায় ঈদ আমাদের সামনে হাজির। সহায়তার হাত বাড়িয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ্য করতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষ সীমাহীন অর্থনৈতিক কষ্টে আছে। আর একদল মানুষ টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সরকার তাদের তালিকা প্রকাশ করছে না। মনে হচ্ছে সরকার পাচারকারীদের সহায়তা করছে। মানুষের মাঝে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকে তাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সরকারি দলের দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ঈদের পরে আমরা মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে থাকব।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি করে কেউ অন্য দলের দালালি করতে পারবে না। দালালদের জায়গা জাতীয় পার্টিতে হবে না।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, নাজমা আক্তার এমপি, সৈয়দ দিদার বখত, জহিরুল ইসলাম জহির, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাশরুর মাওলা প্রমুখ।

Leave a Reply